আর্টিকেল রাইটিং করে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ুন

ক্যারিয়ার’ বলতে সাধারণত আমরা মনে করি, মেডিক্যাল সায়েন্স কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ক্যারিয়ার গড়তে হবে? ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে ব্যর্থ হলে জীবনে আর তেমন কিছুই করা সম্ভব নয়- এই ধারণা ইন্টারনেটের যুগে কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। ইন্টারনেটের এই যুগে আমরা গোটা পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় যখন আনতে পেরেছি, তখন আমাদের যেকোনো প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারব। প্রতিভাবানেরা ইন্টারনেট লেখালেখি করে হতে পারেন কর্মজীবনে সফল। ইন্টারনেটে আর্টিকল রাইটিংও হতে পারে একটি ভালো ক্যারিয়ার।

ক্যারিয়ার হিসেবে আর্টিকল রাইটিং

আজকের দিনে বেশিরভাগ কাজই অনলাইনভিত্তিক। বললে ভুল হবে না, অনলাইন মার্কেটিং জগৎ এখন আর্টিকল রাইটিংয়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। সুতরাং, এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়, একজন ভালো মানের আর্টিকল রাইটারের গুরুত্ব অনেক বেশি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চাইলেই কি ভালো মানের রাইটার হওয়া সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে যেকেউ অবশ্যই সফল হতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষতা। প্রফেশনাল রাইটার হতে হলে যেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে

প্রথমত, ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে; দ্বিতীয়ত, ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে; তৃতীয়ত, রিসার্চে দক্ষ হতে হবে এবং সেই সাথে প্রয়োজন ধৈর্য; চতুর্থত, প্রচুর পরিমাণে লেখার চর্চা করতে হবে; পঞ্চমত, সময় এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।

এখন আপনি যদি আর্টিকল রাইটিংয়ে সত্যিসত্যিই উৎসাহী হন, তবে দেখে নেয়া যাক একটি ভালো মানের আর্টিকল লিখতে হলে যেসব অংশে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

আর্টিকলের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো

টাইটেল: প্রথমেই একটি আর্টিকলের টাইটেল আমাদের নজরে আসে। টাইটেলের ওপর ভিত্তি করেই পাঠক সেটি পড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। সুতরাং, ভালো মানের আর্টিকল লিখতে হলে অবশ্যই একটি নজরকাড়া টাইটেল নির্বাচন করতে হবে এবং আর্টিকলের বিষয়টি যেন তাতে সম্পূর্ণই প্রতিফলিত হয়।

সূচনা: আর্টিকলটি শুরু করুন এমনভাবে যেন এর বিষয় সম্পর্কে পাঠকেরা স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারেন এবং তা পড়ার আগ্রহ ধরে রাখতে পারেন।

মূল বিষয়: আর্টিকলের মূল বিষয়টি কয়েকটি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা করুন। তবে অপ্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রয়োজনীয় কথা দিয়ে আর্টিকলটি অযথাই বড় করবেন না। এতে পাঠক তার পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পাঠকের আরও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনুচ্ছেদগুলোরও উপযুক্ত নাম বা উপনাম (সাব টাইটেল) দিন।

ছবি: আর্টিকলে ছবি সংযোজন করার মাধ্যমে সেটিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলুন। যেকোনো বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে এটি অনেকাংশে সাহায্য করে। এতে পাঠকেরা লেখাটি পড়তে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

সংযোগ স্থাপন: আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আর্টিকেলের এক অংশের সাথে আরেক অংশের কিছু সংযোগমূলক কথা লিখুন, যাতে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা যায়।

সর্বশেষ অংশ: আর্টিকলের সর্বশেষ অংশে একটি চূড়ান্ত মতামত, মন্তব্য, পরামর্শ অথবা সম্পূর্ণ বিষয়টিকে সংক্ষিপ্তাকারে উপস্থাপন করুন। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকলে আপনি আর্টিকল রাইটিংয়ে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারবেন। তবে লেখা শুরু করার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

আর্টিকেলে বিষয় কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য তে জানাতে পারেন আমি চেষ্টা করবো সকলে প্রশ্নে উত্তর দিতে, এবং চাইলে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

মন্তব্য করুন »

একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।

 

এই সম্পরকিত আরও »
লেখক সম্পর্কে »
জনপ্রিয় পোস্ট »
০৮, জুলাই, ২০১৯, ২:১০ অপরাহ্ণ - বিবিসি ফ্লাই
১৬, অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ - মেসিলা ইয়াসমিন
২৫, জুলাই, ২০১৯, ৬:২৩ অপরাহ্ণ - লতিফা বেগম
২৭, নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ - ডাক্তার ফাহামিদা সাবিনা
সাম্প্রতিক লেখাসমূহ »
২২, আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ - Aysha
১৪, আগস্ট, ২০২১, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ - Aysha Biswas
২৩, জুলাই, ২০২১, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ - Akhi Akber
২৩, জুলাই, ২০২১, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ - Sidratul Momotha Rim