আজ আপনাদের জন্য রয়েছে সুস্বাদু ও ট্যাঁসটি রসমালাই রেসিপি। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকর। আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারবেন এই মজাদার খাবারটি। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই রেসিপিটি।
রসমালাই তৈরির উপকরণঃ
- = ডিম – ১টি
- = বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ
- = গুড়ো দুধ – ১ কাপ
- = ময়দা – ১ চা চামচ
- = তরল দুধ – ১ লিটার
- = চিনি – স্বাদমত
- = এলাচ দানা, গুড়ো করা – ১ টি
- = ভ্যানিলা এসেন্স – ১/২ চা চামচ (গোলাপজল দিতে পারেন পরিবর্তে)
- = পেস্তা বাদাম কুচি সাজানোর জন্য
রসমালাই প্রস্তুত প্রণালিঃ
- ১। তলা ভারী এমন বড় একটি পাত্রে চিনি আর তরল দুধ মিশিয়ে ফুটাতে দিন, এলাচদানা গুড়োটাও দিয়ে দিন। আচঁ খুব কম রাখুন।
- ২। এবার আরেকটি পাত্রে গুড়ো দুধ, ময়দা, বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন, ডিমটি ফেটিয়ে এই মিশ্রনে মেশান। ভ্যানিলা অথবা গোলাপজল দিয়ে দিন।
- ৩। সব একসাথে সুন্দর করে মিশিয়ে খামির বানান, খুব বেশি মাখবেন না…সব মিশে গেলেই হলো। প্রথমে খামিরটা হাতের সাথে আটকে আটকে যাবে আঠালো হয়, কিন্তু ৩/৪ মিনিট রেখে দিলেই দেখবেন সুন্দর খামির হয়ে গেছে , হাতের সাথে আর আটকাচ্ছে না।
- ৪। এখান থেকে এবার ছোট ছোট বল বানান।বেশি বড় বানাবেন না, মার্বেলের মতো বড়
বানালেই দেখবেন দুধে দেবার পর বলগুলো ফুলে দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে…তাই ছোট বল বানান। - ৫। এতোক্ষনে চুলায় দুধ ফুটে গিয়েছে, এই বল গুলো সাবধানে ফুটন্ত দুধের মাঝে ছেড়ে দিন। চামচ বা কিছু দিয়ে নাড়বেন না, ফুটতে দিন আরো কয়েক মিনিট। দেখবেন বলগুলো ফুলে উঠেছে। আচঁ আরো কমিয়ে দিন
এখন, সর্বনিন্ম আচেঁ রাখুন। - ৬। দশ মিনিট এভাবে কম আচেঁ রান্না করুন,
মাঝে মাঝে পাত্রটি সাবধানে ধরে ঝাকিয়ে দিন, যাতে তলায় ধরে না যায়। - ৭। দশ মিনিট পরে একটি মিষ্টি তুলে দেখুন ভিতরে সেদ্ধ হয়েছে কিনা। বেশি কাচাঁ থাকলে কম আচেঁ আরো কিছুক্ষন
রান্না করূন, যদি সামান্য একটু কাচাঁভাব থাকে মিষ্টির
ভিতরে তাহলে চুলা নিভিয়ে পাত্র
ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন, ভেতরের তাপেই আরো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে। - ৮। মালাই আরেকটু ঘন
করতে চাইলে আরো কিছুক্ষন কম আচেঁ চুলায় রাখতে পারেন, শুধু মাঝে মাঝে পাত্রটি একটু
ঝাকিয়ে দিন যাতে তলায় ধরে না যায়। - ৯। ঠান্ডা করে পরিবেশন করূন রসমালাই, পরিবেশনের পূর্বে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন মিষ্টির ওপরে।
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।