১। আর্টিকেল রাইটার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রিসার্চ করতে না পারলে কখনোই আপনি একটা ভালো ইনফর্মেটিভ আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। রিসার্চ করা বলতে বোঝাচ্ছি, আপনি যেই টপিকটা নিয়ে লিখতে চাচ্চেন, সেটা সম্পর্কে আগে রিসার্চ করে ভালো করে জানুন। তারপর ওই টপিকটার উপর একটা পূর্ণাংগ ইনফর্মেশনে ভরা আর্টিকেল লিখে ফেলুন। এতেই ভিজিটররা আপনার আর্টিকেল থেকে ভ্যালু পাবে।
২। লেখতে পারার দক্ষতা বাড়বে। শুধু বই পড়ার কথা বলছি না, ইন্টারনেটে প্রত্যেকটা টপিকের উপর হাজার হাজার আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট আছে। আপনি যেই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড, সে বিষয়ের আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট পড়া শুরু করুন। এতে খালি আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে না, আপনি কিভাবে ইন্টারেস্টিং ওয়েতে লিখতে হয় তাও শিখতে পারবেন।
৩। ইংরেজীর উপর ভালো দখল থাকা একজন রাইটারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই সুন্দর করে একটা কিছু লিখতে পারেন না কেন, ইংরেজি ভালো না জানলে তা দিয়ে কিছুই হবে না। ইংরেজি ভালো ভাবে শেখার জন্য যে জিনিসটা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে, তা হলো প্রচুর পরিমানে ইংরাজী মুভি, সিরিজ এসব দেখা। আপনি যদি রাইটার হিসেভে ক্যারিয়ার গড়তে চান, আমি সাজেস্ট করবো ইংলিশ মুভি, সিরিজ এগুলো দেখা শুরু করতে।
৪। একটা রিসেন্ট স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার সকালে আর্টিকেল লিখে থাকেন। একটা ফ্রেশ ঘুমের পর সকাল বেলায় আপনার ব্রেইন ঠান্ডা থাকে, মন চাংগা থাকে, তাই খুব তাড়াতাড়ি আর্টিকেল লেখার আইডিয়া পাওয়া যায়। আপনি সকালে আর্টিকেল লেখার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
৫। আর্টিকেল যতটা সম্ভব সিম্পল রাখুন। কঠিন কঠিন কোনো শব্দ ব্যবহার করবেন না, আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব শব্দ ব্যবহার করি সেগুলা দিয়েই আর্টিকেল লিখবেন। কোনো বাক্য খুব বেশি বড় করার দরকার নেই। ছোট ছোট সিম্পল বাক্য বেশি বেশি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কমপ্লেক্স সেন্টেন্স্ যত কম পারা যায় ব্যবহার করবেন।
৬। আর্টিকেলে কোনো প্যারাগ্রাফ খুব বড় করা যাবেনা। একটা বিশাল বড় টেক্সট এর ব্লক কেউ পড়তে চায় না, কারন এভাবে পরে মজা লাগেনা। তাই আর্টিকেলটা ছোট ছোট প্যারা দিয়ে লিখুন। কোনো প্যারা খুব বড় হয়ে গেলে সেটাকে ভেঙ্গে ২ বা ৩ প্যারায় লিখে ফেলুন।
৭। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, খুব হৈ চৈ পূর্ণ জায়গায় ভালো আর্টিকেল লেখা যায় না। আপনার মন সারাক্ষন এদিক ওদিক ছোটাছোটি করবে। আপনি আর্টিকেলে মন দিতে পারবেন না। তাই, নিরিবিলি কোনো স্থানে বসে আর্টিকেল লিখবেন।
৮। যদি একবসায় আপনার আর্টিকেল লেখা শেষ না হয়, তবে এতে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে ফ্রেশ হয়ে আবার লিখতে বসেন। সময়ের চাপ নিয়ে আপনি কখনো ভালো আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।
৯। আর্টিকেলে মাঝে মাঝে স্টোরি বলা খুব ভালো একটা প্র্যাক্টিস। এতে ভিজিটররা মজা পায় আর্টিকেলটা পড়ে, আপনার উপর তাদের ইম্প্রেশন ভালো হয়। তাই আর্টিকেলে সম্ভব হলে নিজের ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা গল্পের আকারে লেখার ট্রাই করতে পারেন।
১০। বাংলা ভাষাতে আর্টিকেলে লিখলে সবসময় অবশ্যই বাংলা ভাষা, বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে লিখতে হবে। লেখার সময় চেষ্টা করুন আপনি নিজে যতটুকু জানেন তার পুরোটাই জানিয়ে দিতে।
আর্টিকেলে বিষয় কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য তে জানাতে পারেন আমি চেষ্টা করবো সকলে প্রশ্নে উত্তর দিতে, এবং চাইলে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।