গোনাহ মাফের বিশেষ নামাজ

আল্লাহর নৈকট্যলাভের অন্যতম মাধ্যম নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তো বটেই ওয়াজিব, সুন্নত ও নফলের গুরুত্বও অনেক। হাদিসে শরিফে বলা হয়েছে, নামাজ বেহেশতির চাবি। -সহিহ বোখারি শরিফ আমরা সবাই জানি ইহকালীন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত প্রভৃতি ইবাদাত- বন্দেগি পরকালে জান্নাতে যাওয়ার সহায়ক।

গোনাহ মাফের বিশেষ নামাজ

গোনাহ মাফের বিশেষ নামাজ

কিন্তু আল্লাহতায়ালা কি এসব ইবাদত-বন্দেগির প্রতিদান শুধু পরকালেই দেবেন? দুনিয়াতে তিনি কিছুই দেবেন না? অবশ্যই দেবেন। যে সমাজের মানুষ আল্লাহতায়ালার বিধি-বিধান মেনে চলে সে সমাজে বিশৃংখলা, অরাজকতা, হানাহানি প্রভৃতি হয় না।

কারন ওই সমাজের প্রত্যেকটা মুসলমান আল্লাহর মুমিন বান্দা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। হাদিসের ভাষ্যমতে এই নামাজই মানুষকে বিরত রাখে সব ধরনের অহিতকর কাজ থেকে। এরপরও অনিচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে অনেক গুণাহের কাজ মানুষ করে ফেলে। এমন গুনাহ মাফের পথ-পদ্ধতিও কিন্তু হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীকে শিখিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তার চাচা হজরত আব্বাস (রা.) কে চার রাকাত নামাজ শিখিয়েছিলেন। যে নামাজ ছোট- বড়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, প্রকাশ্যে- গোপনে যাবতীয় গোনাহ মাফের জন্য পড়তে হয়। এই নামাজকে বলা হয় সালাতুত
তাসবিহ।
নফল ইবাদতের মধ্যে সালাতুত তাসবিহ বা তাসবিহের নামাজ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে এ নামাজ প্রায়ই আদায় করতেন। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও অনেকেই খুব গুরুত্ব সহকারে এ নামাজ আদায় করেছেন।


গোনাহ মাফের বিশেষ নামাজ

হাদিসে এ নামাজের বিনিময়ে সগিরা গোনাহ মাফ করে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) প্রতি শুক্রবার এ নামাজ আদায় করতেন। হজরত আবু জাওজা (রহ.) অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিদিন জোহরের আজানের পর জামাত শুরু হওয়ার আগে সালাতুত তাসবিহ পড়তেন।

সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম হলো, প্রত্যেক রাকাততে সূরা ফাতেহার আগে ১৫ বার, দ্বিতীয় সূরা পরে ১০ বার- সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ দোয়াটি পড়তে হয়। এরপর রুকুতে গিয়ে এ দোয়া দশবার, রুকু থেকে উঠে দশবার, সিজদায় গিয়ে দশবার, সিজদা থেকে উঠে দশবার, দ্বিতীয় সিজদায় দশবার পড়বে। এভাবে বর্ণিত দোয়াটি প্রত্যেক রাকাতে পঁচাত্তর বার করে পূর্ণ চার রাকাতে তিনশতবার পড়তে হয়।

এই নামাজ জীবনে একবার হলেও পড়তে হয়। আর সম্ভব হলে এই নামাজে মুসাব্বাহাত সূরা অর্থাৎ যে সূরাগুলোর শুরুতে তাসবিহ উল্লেখ রয়েছে ওই সূরাগুলো থেকে চার রাকাতে যে কোনো চারটি সূরা পড়া। মুসাব্বাহাত সূরা হচ্ছে মোট সাতটি। সূরাগুলো হলো- সূরা হাশর, সূরা হাদিদ, সূরা বনি ইসরাইল, সূরা তাগাবুন, সূরা জুমা, সূরা সফ ও সূরা আলা।

দোয়া: ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَُ উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার গুণকীর্তন করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

মন্তব্য করুন »

একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।

 

এই সম্পরকিত আরও »
০৫, ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১:০৬ পূর্বাহ্ণ - বিবিসি ফ্লাই
৩০, ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ - M S Emon Ahmed Juktibadi
লেখক সম্পর্কে »

সম্পাদক ও প্রকাশক: আরিফুল ইসলাম । ফোনঃ ০১৮৭৪৪০৬৯৭৭, ফ্যাক্সঃ ৯৯৩০৪৮৬, ১০১২/১ জামতলা মোড়, শরপাড়া, কাফরুল, ঢাকা-১২১৬,বাংলাদেশ ই-মেইলঃ [email protected]

জনপ্রিয় পোস্ট »
০৮, জুলাই, ২০১৯, ২:১০ অপরাহ্ণ - বিবিসি ফ্লাই
১৬, অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ - মেসিলা ইয়াসমিন
২৫, জুলাই, ২০১৯, ৬:২৩ অপরাহ্ণ - লতিফা বেগম
২৭, নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ - ডাক্তার ফাহামিদা সাবিনা
সাম্প্রতিক লেখাসমূহ »
২২, আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ - Aysha
১৪, আগস্ট, ২০২১, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ - Aysha Biswas
২৩, জুলাই, ২০২১, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ - Akhi Akber
২৩, জুলাই, ২০২১, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ - Sidratul Momotha Rim