আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ ক্ষমা করেন। কিন্তু যে আল্লাহর শরিক করে, সে এক মহাপাপ করে [সুরা নিসা-৪৮]।
এমনিভাবে সুরা নিসার ১১৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেন :
কেই আল্লাহর শরিক করিলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়।
শিরক হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলী সম্পর্কে যেসব বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে তেমন কোনো বিশ্বাসসৃষ্ট বস্তুর ব্যাপারে অথবা ইবাদত, মহব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে আল্লাহর সমতুল্য মনে না করা।
যারা আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে তাদের মুশরিক বলে।
তারা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। কোরানে পাকে এসেছে মুশরিকরা জাহান্নামে পৌঁছে বলবে, আল্লাহর শপথ! আমরা তো ¯পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিলাম, যখন আমরা তোমাদিগকে জগৎসমূহের প্রতিপালকের সমকক্ষ গণ্য করতাম [সুরা শুআরা-৯৭-৯৮]।
সুরা লুকমানের ১৩নং আয়াতে হজরত লুকমান স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দানের সময় বলেন হে বৎস! আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা মহাঅন্যায়।
১৫নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন যদি তোমার মাতা-পিতা আমার সঙ্গে এমন কোনো বিষয়কে শরিক করতে পীড়াপীড়ি করে যার জ্ঞান তোমার নেই তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না। এই আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় তাফসিরে মাআরিফু কোরান [বাংলা অনুবাদ-১০৫৬]
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।