করোনা মহামারি তে বছরের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা ও প্রয়োজন হয়ে পড়ে তথ্য প্রযুক্তি। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে পড়ে অনলাইন নির্ভর। ব্রড ব্যান্ড ইন্টার নেট সহ মোবাইল ইন্টার নেট ব্যবহার বেড়ে যায় বহুগুণে। অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ায় বেড়ে যায় মোবাইলের চাহিদাও।
লকডাউনে মধ্যে ই-কমার্স মাধ্যমে কেনাকাটা ও বেড়ে যায় বহু গুণে।কোভিড - ১৯ মহামারী তে ইন্টার নেট ব্যবহার বেড়েছে ৫০ শতাংশ এবং ই-কমার্সের কেনাকাটা বেড়েছে ৫০ শতাংশ, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার একাউন্ট চালু হয়েছে ৫০ কোটি ।কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ
গত দুই বছর ধরে ইজেনারেশন স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ চালিয়ে আসছে। এই কাজের মাধ্যমে অর্জিত ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ সক্ষমতা প্রয়োগ করে ইজেনারেশন এআই-ভিত্তিক চ্যাটবট, মেশিন লার্নিং সম্বলিত এক্স-রে ইমেজ বিশ্লেষণ টুল, ক্লাউডভিত্তিক আইসিইউ সেবা, টেলিমেডিসিন এবং টেলিরেডিওলজি সল্যুশন তৈরি করেছে যা দ্রুততর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানে সহায়তা করতে সক্ষম। সম্প্রতি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব ডেভলপকৃত হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনরফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পাঁচটি হাসপাতাল স্বয়ংক্রিয়করণেও সহায়তা করেছে।
ডিজিটাল রূপান্তর রোডম্যাপ তৈরিতে খাতভিত্তিক নেতৃবৃন্দকে একত্র করা
গত এপ্রিল থেকে ইজেনারেশন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে যৌথভাবে খাতভিত্তিক ওয়েবিনার আয়োজন করছে আসছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখার উপায়; নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সেবা নিশ্চিত করা; স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়ন; কোভিড পরবর্তী ব্যবসার সুযোগ তৈরিতে গবেষণা ও উন্নয়ন; প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তা দিতে সরকারকে উদ্বুদ্ধ করা এবং ওষুধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক সেবা খাতসহ বিভিন্ন খাতকে এ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কিভাবে সহায়তা করতে পারে তার কৌশল নির্ধারণে দেশি-বিদেশি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে এই ওয়েবিনারগুলো আয়োজন করা হয়।
মাইক্রোসফট, এসএপি, ডেল, ইউআইপাথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে ইজেনারেশন সর্বাধুনিক ওয়ার্কপ্লেস সল্যুউশন, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ক্লাউড সেবা, সাইবার সিকিউরিটি, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও আইটি পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছে। ইজেনারেশনের সরবরাহকৃত টুলস ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কিছু সরকারি সেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে।
ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেশের জনস্বাস্থ্য ও সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজেনারেশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সরকারি-বেসরকারি খাত ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতায় এবং প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে করোনা মোকাবেলা ও চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।