পেটের মেদ কমে গেলেও তলপেটের মেদ কমতে চায় না অনেকের। আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম তলপেটের মেদ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। জেনে নিন তলপেটের মেদ দূর করার কিছু সহজ নিয়ম-
১. প্রথমে চিৎ হয়ে শোন। দুই পা একত্রে করে ওপরের দিকে ওঠান, আবার নামান। এভাবে ১৫ বার করুন। ১৫ বারে এক সেট। এভাবে তিন সেট করুন।
২. চিৎ হয়ে শোন। দুই পা সাইকেল চালানোর মতো করে ঘুরান। এভাবে ১৫ বার করুন। এই ক্ষেত্রেও ১৫ বারে এক সেট। এভাবে তিন সেট করুন।
৩. চিৎ হয়ে শোন। এক পা ওপরের দিকে তুলুন। সেই পা নামিয়ে আবার আরেকটি পা ওপরের দিকে তুলুন। ব্যায়ামটি ১৫ বার করুন। এখানেও ১৫ বারে এক সেট। এভাবে তিন সেট করুন।
৪. চিৎ হয়ে শুয়ে দুই পা ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তুলে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। এভাবে দুবার করুন।
দ্রুত পেটের মেদ কমাতে চাইলে নিয়মিত করুন এই ব্যায়ামগুলো :
১. সিট আপ
কোনো একটি সমতল জায়গায় বা মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার পা দুটো ভাঁজ করে দিন। হাত থাকবে হাঁটু বরাবর সোজা, সামনের দিকে। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা সামনের দিকে উঠে বসুন। পা ভাঁজ অবস্থায় থাকবে। এবার আবার আগের অবস্থায় শুয়ে যান। বসা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকবেন না। উঠে আবার শুয়ে পড়বেন, আবার উঠে বসুন। এভাবে হবে একবার। আপনি এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন। এক মিনিট পরে ঠিক একই নিয়মে আবার শুরু করবেন। আবার ১২ বার করবেন। এভাবে ১২ বারে হবে এক সেট। আপনাকে এভাবে দুই সেট করতে হবে প্রাথমিক অবস্থায়। পরে সেট বাড়িয়ে তিন সেট করতে পারেন।
২. ক্রাঞ্চেস
সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো একটু ফাঁকা রেখে ভাঁজ করে দিন। হাত দুটো আপনার মাথার দুই পাশে অর্থাৎ কানের পেছনে রাখুন। এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ওপরের দিকে উঠুন। খেয়াল রাখবেন মুখ দিয়ে ফুঁ দেওয়ার মতো করে নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং ঘাড়ে কোনো চাপ দেবেন না। আপনি মনোযোগ দেবেন আপনার পেটের মাংসপেশিতে। ঘাড় বাঁকা করবেন না। ঘাড় সোজা থাকবে এবং আপনি তাকিয়ে থাকবেন ওপরের দিকে অর্থাৎ সিলিংয়ের দিকে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে নিচের দিকে নামবেন, তবে পুরো মেঝেতে আপনার মাথা লেগে যাবে না; মেঝে থেকে আপনার মাথায় কিছুটা ফাঁক থাকবে। এভাবে আবার ওপরে উঠুন এবং নিচের দিকে ক্রাঞ্চ করে নামুন। খুব দ্রুতও করা যাবে না। মাঝারি একটা তালে করতে হবে। আপনি এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন। এবং এক মিনিট পরে ঠিক একই নিয়মে আবার শুরু করবেন। আবার ১২ বার করবেন। এভাবে ১২ বারে হবে এক সেট; এভাবে দুই সেট করতে হবে। আপনার পেটের মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারণের দিকে খেয়াল রাখুন।
৩. লেগ রেইস
সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো জোড়া করে সোজা ৯০ ডিগ্রি ওপরে তুলে দিন। হাত দুটো সোজা পাশে থাকবে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে পা দুটো জোড়া অবস্থায় নিচে নামান। তবে পা দুটো মেঝেতে লেগে যাবে না। আপনার পায়ের সঙ্গে মেঝের কিছুটা দূরত্ব থাকবে। ওই অবস্থায় নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আবার পা দুটো ৯০ ডিগ্রি ওপরে তুলে দিন। আবার নিচে নামান। মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে লেগে থাকবে। এভাবে ১২ বার করে দুই সেট করুন। এই ব্যায়াম তলপেটের জন্য খুবই উপকারী।
৪. রাশিয়ান এবস টুইস্ট
পা দুটো সামনে সোজা করে দিয়ে বসে যান। এবার পা দুটো ভাঁজ করে পায়ের পাতা মেঝে থেকে একটু উঁচুতে নিয়ে যান। কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ একটু পেছন দিকে নিয়ে যান। এবং হাত দুটো নমস্কারের ভঙ্গিতে রেখে একবার ডানদিকে ঘুরে ডান কোমরের কাছে আবার বা দিকে ঘুরে বা কোমরের কাছে আনুন। এভাবে ১২ বার করে দুই সেট করবেন। এতে আপনার কোমরের পাশের মেদ এবং তল পেটের মেদ কমবে।
৫. প্লাংক
উপুড় হয়ে শুয়ে সামনে দুই হাত ভাঁজ করে কনুইয়ের ওপর এবং পায়ের টোয়ের ওপর ভর দিয়ে, একটু উঁচু হয়ে শরীরকে একটি সমান্তরাল অবস্থায় রাখতে হবে। এভাবে ঠিক এই অবস্থায় থাকুন ১০-১৫ সেকেন্ড। প্রথম দিকে ১০-১৫ সেকেন্ড থাকবেন। পরে আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে ৪০-৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত করতে পারবেন। এভাবে একবার হলো। এভাবে করবেন দুই থেকে তিনবার। প্রতিবার করার পর একটু বিশ্রাম নেবেন। এতে আপনার পেটের সঙ্গে সঙ্গে পিঠ এবং হাতের মেদও কমবে।
এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করলে আপনি অবশ্যই খুব ভালো ফলাফল পাবেন। তবে মনে রাখবেন প্রতিদিন পেটের ব্যায়াম করবেন না। প্রাথমিক অবস্থায় একদিন পরপর করবেন। এতে ভালো ফল পাবেন। প্রথম এক থেকে দুদিন করার পর দেখবেন পেটে মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করবেন। এতে আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার ব্যায়ামগুলো কাজে লাগছে অর্থাৎ ফ্যাটসেলগুলো ভাঙতে শুরু করেছে। এভাবে দুই থেকে তিন মাস টানা করলে ভালো ফল পাবেন। এবং দুই থেকে তিন মাস পরে আবার অন্য ব্যায়াম নির্বাচন করতে হবে। কারণ একই ব্যায়াম বেশি দিন ধরে করতে থাকলে আর কাজে দিতে চায় না।
সবশেষে মনে রাখতে হবে যে ব্যায়ামের পাশাপাশি খাবারের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এই ব্যায়াম করলে ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। চিনি ও চিনিজাতীয় খাবার এবং পানীয় দূরে রাখুন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন একেবারে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস করুন।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
Naic
Wow
Wow
ভালো মন্তব্য
Wow thanks
Nice
nice
nice
nice
nice
nice
nice
nicr
nice
Vloi
Nice
Thanks Vai Amar ay Trik ti kaj a asche
Nice
ভালো
nice
Nice
nice
Nice
Good
অনেক সুন্দর পরামর্শ
ধন্যবাদ
Ooo good
good
অহ
Nice
Nice
Nice
Good
thanks
খুব সুন্দর একটি পোষ্ট
Great
Very good
ধন্যবাদ
Nice
👍👍
wow
hi
hi
Wel
খুব ভালো
ভাল
Nice
Nice
Valo
Valo
Nice
Nice
This is really good
কি লিখছো বুজিনা
Nice
Excellent
Thanks
good
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।