গুনাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ মোতাবেক ধর্মপ্রাণ মুসলামানেরা নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন জিকির আযগার করে থাকেন। তবে এর মধ্যেও বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো গুনাহ মাফের জন্য গুরুত্ব অনেক বেশি। তেমনই এক নামাজের নাম আওয়াবীনের নামায। এই নামায আদায় করলে ১২ বছরের গুনাহ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
মাগরিবের ফরয এবং সুন্নাতের পর কমপক্ষে ছয় রাকআত এবং সর্বাপেক্ষা বিশ রাকআত নফল নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা হয়। হাদিসে এই ছয় রাকাত আওয়াবীনের ফযিলতের ১২ বছরের ইবাদত করার সওয়াব অর্জিত হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। অপর এক হাদিসে বিশ রাকআত পাঠ করলে জান্নাতে আল্লাহ তার জন্য একটা ঘর তৈরি করবেন বলা হয়েছে।
এ নামাযটির ব্যাপারে কয়েকটি হাদিস :
যরত হুযাইফা (রা) বলেন “আমি নবীজি (সা)-র কাছে এসে তার সাথে মাগরীবের সালাত আদায় করলাম। তিনি মাগরীবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।” সহীহ হাদিস।
(ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নসাঈ, সুনানুল কুবরা)।
অন্য হাদীসে আনাস (রা) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মাগরীব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সজাগ থেকে অপেক্ষা করতেন এবং নফল সালাত আদায় করতেন।”
হযরত হাসান বসরী বলতেন, ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযও রাতের নামায বা তাহাজ্জুদের নামায বলে গণ্য হবে।
(বাইহাকী, আস সুনানুল কুবরা)
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।