রসুন হল একটি সাধারণ মসলা যা সব ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অনেক আগে থেকেই রান্নায় রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। রসুন শুধু রান্নার স্বাদই বৃদ্ধি করে না, এর পুষ্টিগুনও অন্য মসলার থেকে বেশি।
তাই রান্নায় রসুনের ব্যবহার অনেক সময় ঔষুধের কাজও করে। বিশ্বের প্রায় সব মানুষই রসুনকে তাদের রোগ নিরাময়ের ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
আপনি কি জানেন, রসুনে প্রচুর পরিমানে ময়েশ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল ফাইবার আছে। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন সি। এ ছাড়া আয়োডিন, সালফার, ক্লোরিনও রয়েছে স্বল্প পরিমানে।
আপনি যদি খালি পেটে রসুন খান তবে বিভিন্ন রোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি, আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলতে পারেন। খালি পেটে রসুন খেলে এটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের মত কাজ করে। আপনি যদি সকালের নাস্তার পর খালি পেটে রসুন খান , তবে এটি আরো বেশি উপকারি। আপনি যদি খালি পেটে রসুন খান তবে, ব্যাকটেরিয়া গুলো উন্মুক্ত হয়।
রসুনের কাছে ব্যাকটেরিয়া গুলো হেরে যায়। আপনাদের যাদের উচ্চ রক্ত চাপ আছে, রসুন খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্ত চাপের ভালো ফল পেতে পারেন। আপনাদের যাদের পেটে সমস্যা আছে তারাও রসুন খাওয়ার ফলে ভালো উপকার পেতে পারেন। রসুন ক্ষুদা মন্দাও দূর করে। রসুন দেহের জন্য খুবই উপকারি। আপনি যদি রসুন তরকারির সাথে দিয়ে রান্না করেন তবে রান্নার স্বাদ অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
এ ছাড়াও রসুন আপনার তরকারীকে করবে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারি। রসুন আপনার দেহকে রাখতে পারে সুস্থ, সবল ও কার্যক্ষম। রসুন পারে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে করতে।
কিন্তু রসুনের খোসা ছাড়ানো অনেক বিরক্তিকর কাজ। তাই অনেকেই এটি করতে চান না। তাই আজকে আপনাদের বলব রসুনের খোসা ছাড়ানোর সহজ কিছু উপায় :
রসুনের খোসা ছাড়ানোর সহজ পদ্ধতি
১ । প্রথমে কিছু রসুন ছোট ছোট টুকরা করে কেটেঁ নিন। তারপর এ গুলো হাত দিয়ে ঘসুন, কিছু ছোলা আপনার হাতের সাথে উঠে আসবে। তার পর টুকরা গুলো একটি বাটিতে নিয়ে হালকা ফু দিবেন। এতে রসুনের ছোলা গুলো উড়ে যাবে।
২ । কিছু রসুন নিয়ে এর কোয়া গুলো ছাড়িয়ে নিবেন। তার পর কোয়া গুলো শক্ত কিছুর ওপর নিবেন। শক্ত কিছু একটা দিয়ে কোয়া গুলোর ওপর আঘাত করবেন। আপনি শিল পাটার ওপর ও করতে পারেন। এতে খুব সহজে খোসা গুলো আলাদা হয়ে যাবে।
৩। এই টিপসটা অনেক রসুনের খোসা এক সাথে ছাড়ানোর জন্য। রসুনের কোয়া গুলো আলাদা করে একটি বাটিতে নিবেন। এর মধ্যে কুসুম গরম পানি দিবেন। তারপর হাত দিয়ে একটু নেড়ে দিবেন। ৫ মিনিটের মত পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। ৫ মিনিট পর রসুনের খোসা অনেক নরম হয়ে যাবে। তারপর হাত দিয়ে ভাল করে কষলিয়ে নিন। ১ মিনিট কষলালে সব খোসা উঠে যাবে। কষ্টও কম হবে।
৪। রসুন কাটলে হাতে গন্ধ লেগে থাকে। অনেকের এ গন্ধ ভাল লাগে না। এ গন্ধ দূর করার জন্য যা করবেন। একটি টি প্যাক নিবেন। যে হাতে গন্ধ লেগে থাকবে সে হাতে টি প্যাক টি নিবেন। এরপর ভাল করে কষলিয়ে টি প্যাক দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। এ ছাড়া একটি গ্লাসে পানি নিয়ে তার মধ্যে টি প্যাক ডুবিয়ে হাত ধুয়ে নিতে পারেন। এতে করে খুব সহজে হাত থেকে দূর্গন্ধ চলে যাবে এবং হাত পরিষ্কার হয়ে যাবে। বাসায় এ পদ্ধতি চেষ্টা করলেই বুঝতে পারবেন, এটি আসলে কতটা কার্যকরী।
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।