চুল পড়ে যাচ্ছে কিংবা চুল দুর্বল তাহলে কম খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে করে ফেলুন চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট চুল আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ন অংশ হলেও বাইরের ধুলাবালি, রোদ ও দূষিত আবহাওয়ার কারনে চুলের আসল সৌন্দর্য হারায় তাই চুলের যত্নে প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট হতে পারে একটি ভালো চয়েস। পার্লারে এই ট্রিটমেন্ট করতে অনেক টাকা প্রয়োজন হলেও আজ আপানদের দেখাবো বাসায় কিভাবে এই ট্রিটমেন্ট করবেন।
প্রোটিন ট্রিটমেন্ট তৈরির উপাদান :
ডিম – ২ টি,
অলিভঅয়েল – আধাকাপ,
টকদই – আধাকাপ,
মধু – আধাকাপ,
ভিনেগার – আধাকাপ,
পানি – ১ কাপ,
ভিটামনি ই ক্যাপসুল (৫০০ মি.গ্রা. সফ্ট জেল)- ১ টি
যেভাবে তৈরি করবেন :
প্রথমে ডিম ভেঙ্গে তার কুসুম আলাদা করে নিন। এবার একটি বাটিতে কুসুম নিয়ে তা ব্লেন্ড করে নিন। চুলের সাইজ অনুযায়ী ডিম নেবেন। চুল ছোট হলে ১টি ডিম যথেষ্ট, আর বড় হলে ৩টি করে নেবেন। ডিমের কুসুম ব্লেন্ড করে ফেনা ফেনা হয়ে এলে ই ক্যাপস্যুল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে দিন। এর পর এতে দিয়ে দিন মধু ও টকদই। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার প্যাক। এবার এটা চুলে দেবার পালা।
প্রথমে ভালো করে চুল আচড়ে নিন। চুলে জট থাকলে তা ভালো করে ছাড়িয়ে নেবেন। এবার এই প্যাক সারা মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। সারা মাথায় মাখা হয়ে গেলে এলুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার সময় ভালো মানের কন্ডিশনার লাগাবেন তাহলে চুল হবে আরও মসৃণ।
হেয়ার ট্রিটমেন্ট এর উপকারিতা :
১.চুলের ভাঙ্গা রোধ করবে
২,চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে
৩,কোনো ধরনের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ কালারিং, রিবন্ডিং, স্ট্রেইটনিং, পার্মিং, অতিরিক্ত আয়রনিং, কার্লিং ও বো-ড্রায়িং ইত্যাদির কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাসে দু-তিনবার বা প্রতি সপ্তাহে একবার করানো যেতে পারে
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।