এই হিম হিম ঠান্ডায় গরম গরম এক কাপ চা আর মচমচে সিঙ্গারা হলে সন্ধ্যাটা একদম জমে যায়। আর রোজ রোজ একইরকম সিঙ্গারা না খেয়ে সিঙ্গারার রেসিপিতে যদি একটু ভিন্নতা আনা যায় তাহলে তো কথাই নেই। এখন কথা হল এই ট্রাডিশনাল সিঙ্গারার মধ্যে ভিন্নতা কিভাবে আনা যায়। অনেকভাবেই সম্ভব। তবে এখন যেহেতু শীতকাল তাই শীতের যেকোন একটা তাজা সবজি দিয়েই এই চেষ্টাটা করা ভাল। আর শীতের সবজির কথা উঠলে সবার আগে মনে আসে সবজির রানি ফুলকপির কথা। চলুন কথা না বাড়িয়ে গরম গরম ফুলকপির সিঙ্গারার রেসিপি জেনে নেই।
সিঙ্গারা তেরির উপকরণ :
ডো বানাবার উপকরণ :
ময়দা এক কাপ
লবণ স্বাদমত
বেকিং পাউডার এক চিমটি
চিনি সামান্য
সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ
কালোজিরা ১/২ চা চামচ
উষম গরম পানি পরিমাণমত
ফুলকপির পুর বানাবার উপকরণ :
ফুলকপি ছোট একটি
আলু ২টি
মটরশুটি ১০ থেকে ১২টি
পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ
রসুন কুচি ১চা চামচ
আদা কুচি ১/২ চা চামচ
কাঁচামরিচ কুচি ৪টি
আস্ত কালো সরষে এক চিমটি
আস্ত জিরা এক চিমটি
পাঁচফোড়ন এক চিমটি
তেজপাতা একটি
শুকনো মরিচ ২টি
ভাজা জিরা গুড়া ১/৪ চা চামচ
ভাজা ধনে গুড়া ১/৪ চা চামচ
হিং এক চিমটি
হলুদ গুড়া অল্প
লবণ স্বাদমত
চিনি সামান্য
গরম মশলা গুড়া সামান্য
ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ
সরষেরর তেল ৩ টেবিল চামচ
ভাজার জন্য পরিমাণমত সয়াবিন তেল
সিঙ্গারা তৈরির প্রণালী :
প্রথমে ডো তৈরী করে নিতে হবে। ময়দা, কালোজিরা, লবণ, বেকিং পাউডার, চিনি আর তেল নিয়ে প্রথমে ভাল করে মিশাতে হবে। এরপর পরিমাণমত উষম গরম পানি দিয়ে মসৃণ ময়ান তৈরী করতে হবে। পানি অল্প অল্প করে দিতে হবে। একবারে বেশী পানি দিলে ডো নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
এবার পুর তৈরীর পালা। প্রথমে ফুলকপি আর আলু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। ফুটন্ত পানিতে ফুলকপি, আলু আর মটরশুটি আধাসিদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার কড়াতে সরষের তেল গরম করে একে একে তেজপাতা, শুকনোমরিচ, আস্ত কালো সরষে, পাঁচফোড়ন, আস্ত জিরা ফোড়ন দিতে হবে। মশলাগুলো একটু ফুটে উঠলে হিং দিতে হবে।
এরপর পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। হিং দেয়ার সাথে সাথে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। কারণ হিং বেশীক্ষণ গরম তেলে থাকলে পুড়ে যাবে। আর পুড়ে যাওয়া হিং এর গন্ধ খুবই খারাপ।
পেঁয়াজ কুচি লালচে হয়ে আসলে রসুন কুচি আর আদা বাটা দিতে হবে। কিছুক্ষণ কষাতে হবে।
এবার সিদ্ধ হওয়া আলু, ফুলকপি আর মটরশুটি কড়াতে দিতে হবে। লবণ দিতে হবে। কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এই পর্যায়ে ভাজা জিরা গুড়া আর ভাজা ধনে গুড়া দিয়ে দিতে হবে। সামান্য হলুদ গুড়া আর চিনিও দিতে হবে।
পুর যখন প্রায় রেডি হয়ে যাবে তখন উপর থেকে গরম মশলা গুড়া আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। ব্যস রেডি ফুলকপির পুর।
এবার হচ্ছে সিঙ্গারা বানাবার পালা। ডো থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিতে হবে। লেচি গুলো দিয়ে লম্বাটে করে রুটি বেলতে হবে। রুটি মাঝখান থেকে দুইভাগ করে নিতে হবে। এবার এই অর্ধেক রুটিটা পানের খিলির মত ভাজ করতে হবে। এর মধ্যে কিছুটা পুর ভরতে হবে। এরপর রুটির মুখের চারপাশে আঙ্গুল দিয়ে অল্প পানি লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে পানের খিলির মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এইভাবে সবগুলো সিঙ্গারা রেডি করে নিতে হবে।
এবার কড়াতে সয়াবিন তেল গরম করতে হবে। খুব বেশী গরম করা যাবে না। তেল মিডিয়াম গরম হলে সিঙ্গারাগুলো একসাথে দিয়ে দিতে হবে। খুব বেশী নাড়ানো বা উল্টানোর দরকার নেই। সিঙ্গারা ভাজা হয়ে গেলে আপনা থেকেই ভেসে উঠবে। মোটামুটি ১০ মিনিট মত ভাজলেই রেডি হয়ে যাবে গরমাগরম ফুলকপির সিঙ্গারা।
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।