বছরজুড়ে হালকা শরীর ব্যথার সমস্যা থাকলেও শীতকালে তা বেড়ে যায় উল্লেখযোগ্য হারে। কারো হাড়ের জোড়ায়, কারো কোমরে, কারো পিঠে, কারো পায়ের মাংসে ব্যথা হয়। শীতের এই সময়টাতে সামান্য আঘাত পেলেও তার ব্যথা যেতেই চায় না- তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তাছাড়া যাদের কেলসিয়ামের সমস্যা আছে তাদের জন্য শীতকাল আশঙ্কাজনক।
সাধারণ কাজ, ওঠাবসা বা প্রয়োজনীয় চলাফেরাতেও এই ব্যথা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই শীত আসার আগেই নিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। আজ থেকেই শুরু করতে পারেন এমন কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস যা আপনাকে দেবে মুক্ত সুস্থ শরীর।
আসুন জেনে নেই শীতের ব্যথা থেকে মুক্তিলাভের জন্য কিছু খাবারের নাম
চেরি ফল
সুমিষ্ট এই ফলটি দেহের পেশীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। চেরি ফলের জুস অথবা হালকা সেদ্ধ করে চেরি খেলে শরীরের যেকোনো ব্যথা দ্রুত দূর হয়।
আদা
আদা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন খাবার তালিকায় কিছু পরিমান সতেজ বা শুকনা আদা থাকলে আমাদের পেশীর গঠনে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যথা বা আঘাত পাওয়া ব্যথা দূর করতেও আদার কার্যকরী গুণ রয়েছে।
রসুন
অনেকে প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া কাঁচা রসুন ভাতের সঙ্গে খান। এই অভ্যাসও আপনাকে বাত ব্যথা বা অন্যান্য ব্যথা থেকেমুক্তি দিতে সক্ষম। ব্যথা প্রতিশেধক হিসেবে রসুনের ব্যবহার আমাদের অনেকেরই জানা। শারীরিক যেকোনো ব্যথায় এটি হালকা গরম তেল বা অলিভ অয়েলে রসুন পেস্ট মিশিয়ে শরীরে লাগান। এতে শরীরের যেকোনো ব্যথা খুব সহজেই দূর হবে।
আঙুর
প্রতিদিন ১০০ গ্রাম আঙুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ব্যাক পেইন বা পিঠের ব্যথা দূর হতে বাধ্য। এই ফলে থাকা পুষ্টিকর বিশেষ উপাদান আপনার শরীরের রক্ত চলাচলকে সরল করে দিতে সক্ষম। এতে শরীরের ব্যথা দূর হয়।
লবঙ্গ
লবঙ্গ এমন একটি মসলা যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে দেহের নানা ধরনের উপকারী গুণ বহন করে। বিভিন্ন ধরণের দাঁতের ব্যথা নির্মূলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য যেকোনো ব্যথা নির্মূলে লবঙ্গের গুড়া অলিভ অয়েলে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে দারুণ উপকার পাবেন।
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।