দিনের পর দিন বাড়তে থাকা ওজন নিয়ে চিন্তিত? সারাদিন বসে বসে কাজ করায় ভুঁড়ি বাড়চ্ছে? কাজের চাপে শরীরচর্চারও সময় পাচ্ছেন না? ভাবছেন তাহলে ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকবেন, কী ভাবে? উপায় আছে, তা-ও একেবারেই ঘরোয়া উপায়। খরচও সামান্যই। কিন্তু নিয়ম মেনে এই ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতে পারলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমবে সহজেই। তা-ও আবার ঘাম না ঝরিয়ে, বিনা পরিশ্রমে।ঠাট্টা নয়, প্রতিদিন পাতে রাখুন সামান্য গোলমরিচ। আর কীভাবে এই গোলমরিচ খেলে দ্রুত উপকার পাবেন, জেনে নিন…
গোলমরিচ যেমন রান্নার স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে তেমনই ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে চাইলে তাই প্রতিদিনের খাবারে রাখুন গোলমরিচ। রোজ সকালে যদি দু-একটা গোটা গোলমরিচ চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে সারাদিন তা হজমে সাহায্য করবে। মেদও ঝরাতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়াও ফ্রুট স্যালাড বা ভেজিটবল স্যালাডের ওপর ছড়িয়ে দিন গোলমরিচের গুঁড়ো। এতেও দ্রুত ফল মিলবে। রান্নায় ফোড়ন হিসেবে দু-তিনটে গোটা গোলমরিচ দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলেও উপকার মিলতে পারে।গ্রিন টির সঙ্গে বা পাতলা চায়ের (দুধ ছাড়া) সঙ্গে এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া গেলে খুব উপকার পাওয়া যাবে।
তাহলে আর দেরি না করে এই উপাদানটিকে কাজে লাগিয়ে বিনা পরিশ্রমে অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে সহজেই সুন্দর সুস্থ শরীর পান
গোলমরিচের অজানা ব্যবহার :
১. কাশি প্রশমিত করে :
ঠাণ্ডা, কাশি দূর করতে আমরা আদা, লবঙ্গের ব্যবহার সম্পর্কে জানি। কিন্তু গোলমরিচও অনেক ভাল কাশি উপশমকারী। চীনে চায়ের সঙ্গে গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করা হয় ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য। ১ টেবিল চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, ২ টেবিল চামচ মধু এক কাপ পানির মধ্যে দিয়ে জ্বাল দিন। ১৫ মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে পান করুন। দেখবেন নিমিষেই আপানর কাশি গায়েব হয়ে গেছে।
২. কাপড়ের রং ধরে রাখতে :
প্রিয় পোশাকটির রং দীর্ঘদিন ধরে রাখতে চান? তবে কাপড় ধোয়ার সময় ডিটারজেন্টের মধ্যে এক চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। আপনার পোশাকের রং দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
৩. ধূমপান ছাড়তে :
ধূমপান ছাড়তে চান তাহলে জেনে নিন গোলমরিচের এই ব্যবহারটি। একটি তুলায় গোলমরিচের তেল মাখিয়ে নিন। যখন আপনার ধূমপান করতে প্রচন্ড ইচ্ছা করবে তখন গোলমরিচের তেল ভেজানো তুলার ঘ্রাণ নিন। দেখবেন ধূমপানের ইচ্ছা একদম চলে গেছে।
৪. দাঁতের ব্যথা দূর করতে :
দাঁতের ব্যথার স্থানে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ঘষুন। এছাড়া গরম পানিতে দুই চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন কিছুক্ষণ। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যথা কমে গেছে।
৫. হজমশক্তি বাড়াতে :
গোলমরিচ খেলে পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয় যা খাবার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে এবং অরুচি দূর করে ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়।
৬. ইঁদুর থেকে বাঁচতে :
বাসায় বিদ্যুতের তারকে ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচাতে আপনি তারে গোলমরিচের তেল লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া ইঁদুর আসা যাওয়া স্থানে কিছুটা গোলমরিচ ছিটিয়ে দিন। দেখবেন ইঁদুর আর তার কাটছে না।
৭. পেশীর ব্যথা কমাতে :
পেশীর ব্যথা কমাতে গোলমরিচ তেলের ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে সাথে সাথে মাংশ পেশী শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে। ২ টেবিল চামচ গোলমরিচের তেলের সাথে ৪ চা চামচ রোজমেরী তেল বা আদার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। মাংশ পেশির যেখানে ব্যথা করবে সেখানে এই তেল ব্যবহার করুন। ব্যথা কমে যাবে।
৮. ক্ষতস্থান সারাতে :
অনেকেই ছোট খাটো ক্ষত বা কাটা দাগ সারাতে গোলমরিচ ব্যবহার করেন। গোলমরিচে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা রক্তপাত বন্ধ করে থাকে। হঠাৎ করে কোন স্থানে কেটে গেলে ক্ষত স্থান সারাতে গোলমরিচ ব্যবহার করুন।
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।