আপনি কি নতুন? আপনি কি ব্লগে লেখা-লেখি করতে চাচ্ছেন? Article কিভাবে লিখতে হয় তা জানেন না? তাহলে এই আরটিকেলটি আপনারই জন্য। এই আরটিকেলটি শুধু তাদের জন্য যারা আরটিকেল কিভাবে লিখতে হয় জানেন না। আমি এই আরটিকেল এর মধ্যে আলোচনা করেছি একটা পূর্ণাঙ্গ আরটিকেল কিভাবে লিখতে হয়। আরটিকেল লেখা শুরু করার আগে কোন কোন বিষয় আপনাকে জানতে হবে। এবং শুরু করার পর কোন কোন রুল্স ফলো করে লিখতে হবে। খুব সহজ ভাবে আলোচনা করা হলো।
লেখা-লেখি শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই প্রচুর আরটিকের পড়তে হবে। কত গুলো আরটিকেল পড়লে আপনি লিখতে পাড়বেন তার কোন নিয়োম নীতি নাই। আরটিকেল পড়তে পড়তে এক সময় আপনি নিজেই আপনার মধ্যে একটা চেন্জ দেখতে পাবেন। কাউকে বলে দিতে হবে না যে, আপনাকে এখন লেখা-লেখি করা উচিত।
আপনি একজন ভালো লেখক হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো পাঠক হতে হবে। তাই যতো বেশি ব্লগ পড়তে পাড়বেন, ততো বেশি আপনার লেখনির হাত ভালো হবে/ লেখার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। চলুন শুরু করি।
Article-এর টপিক নির্বাচন করাঃ
কোন বিষয়ের উপর Article লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয় বা টপিক নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপর্ণ। কেন টপিক নিবার্চন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানেন? আমি বলছি, ধরুন আপনি বাড়ি থেকে বের হলেন কিন্তু আপনি কোথায় যাবেন আপনি নিজেও জানেন না। আপনি কোথায় যাবেন, কি করবেন, আপনি যদি টার্গেট না করে এগোতে থাকেন তাহলে বেশি দূর যেতে পারবেন না। শুধু ঘুড় পাক খাবেন। একবার এদিক একবার ওদিক এমন ভাবে শুধু ঘুড়তে থাকবেন। তাই টপিক নিবার্চন করা খুবই জরুরী।
যখনই একটা টপিক সিলেক্ট করে ফেলবেন তখন আপনার আরটিকেল লেখা সহজ হয়ে যাবে। টপিক সিলেক্ট করলে আপনার লক্ষে পৌছাইতে সহজ হয়ে যাবে। তাই আপনি কোন বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয়টা সিলেক্ট করা অতি জরুরী।
টপিক অনুযায়ী পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করাঃ
আপনি টপিক নির্বাচন করলেন কিন্তু টপিক সর্ম্পকে আপনার কোন জ্ঞান নাই বা আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনার পর্যাপ্ত ধারণা নাই। তাই যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত নলেজ/ জ্ঞান থাকতে হবে। তা না হলে আপনি ভালো কিছু দিতে পারবেন না আপনার ভিজিটরদের।
আপনি হয়তো ভাবছেন এতো ইনফরমেশন কোথা থেকে পাবো? আরে চিন্তা কিসের? গুগল মামা তো আছেনই আর ইউটিউব কাক্কু তো বসেই আছেন, ইহার ভিউয়ার কে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনফরমেশন দিতে বাধ্য থাকিবে। এতো টেনশনের কোনই কারন নাই। কি জানতে চান? সব পাবেন।
কখন বুঝবেন আপনার এখন আরটিকেল লেখা উচিত?
একটা উদাহরনের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্ঠা করছি, ধরুন একটা কলস/ পাত্রে যখন আপনি পানি ঢালবেন পানি ঢালতে ঢালতে যখন পাত্রটি ভড়ে যাবে, তখন দেখতে পাবেন কলসের পানি নিজে থেকেই উগড়িয়ে পড়ছে। আপনি যখন আরটিকেল পড়তে শুরু করবেন তখন দেখতে পাবেন আপনার মধ্যেও একটা চেন্জ চলে এসেছে। আপনার মধ্যে যখন জ্ঞান ঢুকাতে থাকবেন আস্তে আস্তে সেটা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাওয়ার পাশা-পাশি আপনি নিজের মধ্যে একটা চেন্জ দেখতে পাবেন।
আপনি যে বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি করছেন সেই বিষয়ে আপনি পাকা-পক্ক হয়ে উঠলে, তখন আপনি সেই বিষয়ে নতুন আরটিকেল পড়তে গেলে আপনি অন্য লেখকদের মধ্যে অনেক ভূল দেখতে পাবেন (আপনার থেকে যারা দুর্বল তাদের ভূল ধরতে পারবেন)। এবং সলিউশন দেয়ার মন মানসিকতা সৃষ্টি হবে আপনার মধ্যে। তখন আপনি বুঝতে পারবেন এই আরটিকেলটি এভাবে না লিখে অন্যভাবেও লেখা যেতো।
যখনই এমন টা বুঝবেন তখনই ঐ বিষয়ের উপর একটা আরটিকেল লিখে ফেলবেন। এবং যে আপনার থেকে ভালো তাকে দিয়ে চেক করিয়ে নিবেন বা যাদের ঐ বিষয়ের উপর চাহিদা আছে তাদের পড়ালে ভালো হবে। তাদের চাহিদা সর্ম্পকে জানতে পারবেন। কোথায় কোন ভূল আছে সেটাও ধরা পড়বে।
আরর্টিকেল লিখতে বসার আগে একটা কাজ করবেন। আপনি যেই আরর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন। সেই আরর্টিকেল এর মধ্যে কত গুলো পয়েন্ট করলে ভালো হবে এর একটা তালিকা/ লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট লিখলে আপনার লিখতে সুবিধা হবে এবং পাশা-পাশি পাঠকরা পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। আমার অভিঙ্গতা থেকে বলছি।
কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করাঃ
আমরা কি-ওয়ার্ড বলতে বুঝি, যে শব্দ গুলো লিখে গুগলে সার্চ করি সেটাই কি-ওয়ার্ড। এমন কি-ওয়ার্ড পছন্দ করতে হবে যেন ভিজিটর সেই কি-ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে কম পক্ষে ৫০০-১০০০ এর উপরে সার্চ করে। আপনার ব্লগের জন্য Article লেখা শুরু করার আগে আপনাকে কি-ওয়ার্ড রিচার্জ করতে হবে। আপনার আরটিকেলটি কোন বিষয়ের উপর লিখবেন তার উপর ভিত্তি করে আরটিকেল এর জন্য কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করা খুবই জরুরী। আরটিকেল লেখার পূর্বে অবশ্যই কি-ওয়ার রির্চাজ করবেন।
কি-ওয়ার্ড কোথায় ব্যবহার করবেনঃ
কি-ওয়ার্ড আপনার টাইটেল-এ একবার এবং আপনার H2 তে (হেডিং-এ) একরাব ব্যবহার করবেন। আর টোটার আরটিকেল এর মধ্যে কয়েক বার ব্যবহার করতে পারেন। আবার বেশি ব্যবহার করবেন না। বার বার একই ওয়ার্ড ব্যবহার করলে গুগল মাইন্ড করবে। আপনার ওয়েব সাইটকে ডাউন করে দিতে পারে। তাই ন্যাচারাল্লি যদি কি-ওয়ার্ড চলে আসে সে ক্ষেত্রে সমস্যা নাই। জোর করে আরটিকেল এর মধ্যে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।
লেখার সময় টেনশন না করাঃ
Blogging বা Article লিখতে বসার সময় ফ্রেশ মনে লিখতে বসতে হবে এটা অবশ্যই করতে হবে। লিখতে বসার পর আপনার মাথার মধ্যে যদি অন্য চিন্তা ঘুরপাক খাই তাহলে আপনার লেখার মধ্যে একটা ছাপ পড়ে যাবে। এ ভাবে লেখা-লেখি করলে আপনি ভালো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই আপনাকে এক মনে এক ধ্যানে লিখতে বসতে হবে। তাহলেই আপনার মাথার মধ্য থেকে সৃজনশীল চিন্তা ভাবনার সৃষ্টি হবে।
ধরুন, যখন আপনি কোন প্রেম পত্র লিখেন তখন সমস্ত ভালোবাসা উজার করে দিয়ে পত্র সমাপ্ত করেন। তেমনি সমস্ত টেনশন পিছনে ফেলে, যে বিষয় নিয়ে লিখছেন সেই দিকে ১০০% ফোকাস দিতে হবে। তা না হলে আপনি পাঠককে ভালো কিছু দিতে পারবেন না। আপনার ব্লগের প্রতি প্রেমিকার মতো ভালোবাসা দিতে হবে। তাহলেই ভালো প্রেমিক/ প্রেমিকা হতে পারবেন (সাকসেস হতে পারবেন)।
পাঠকের চাহিদা নির্বাচন করাঃ
অবশ্যই ব্লগ/ আরটিকেল লেখার সময় আপনার পাঠকের চাহিদার দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আপনার পাঠক কারা? তারা কি চাই? তাদের চাহিদা কি? আপনাকে সেই বিষয় গুলো এনালাইসিস করতে হবে। এবং আপনাকে এ ও মাথায় রাখতে হবে যে আপনি কোন ওয়েব সাইটে কি লিখছে, এখন আপনি যদি টেকনোলজি সংক্রান্ত ব্লগে পোষ্ট করেন যে, কিভাবে মাটন বিরিয়ানি তৈরি করতে হয়? তাহলে আপনার পাঠকরা পোষ্ট পড়ে বিরক্ত হবে এবং দ্বিতীয় বার আর কেউ আপনার ব্লগে ঢুকবেনা। এভাবে আপনার ওয়েব সাইটের পাঠক হারাবেন। তাই পাঠকের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে আরটিকেল লিখলে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
ব্লগের শিরোনামের উপর গুরুত্ব দিনঃ
ব্লগে আপনি যতো ভালোই লেখেন না কেন আপনার শিরোনাম যদি টপিক রিলেটেড না হয় তাহলে আপনি ভিজিটর হারাবেন। তাই সুন্দর শিরোনাম বা টাইটেল দেওয়ার চেষ্টা করুন। আবার বেশি সুন্দর করতে গিয়ে নষ্ট করে ফেলবেন না। অনেক ক্ষেত্রে শিরোনামের উপর নির্ভর করে সার্চ রেজাল্ট শো করে। আপনার ব্লগের শিরোনাম যতো সুন্দর হবে আপনার ভিজিটর আপনার ব্লগের/ আরটিকেল এর প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাই আপনার টপিক অনুযায়ী শিরোনাম দেওয়া বাঞ্চনিয়।
কপি-পেষ্ট করা যাবে নাঃ
ব্লগ লেখার সময় অবশ্যই মাথাই রাখতে হবে অন্য কারো লেখা কপি-পেষ্ট করা যাবে না। একটা ব্লগের প্রান হলো আরটিকেল। আপনি যদি সেই প্রান-ই নকল করেন বা চুরি করার চিন্তা করেন তাহলে মনে রাখবেন ব্লগিং আপনার জন্য না। PTC এর কাজ করতে পারেন। ব্লগিং করতে হলে আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। আপনাকে কষ্ট করতে হবে।
কোন একটা বিষয় আপনার পাঠকদের বোঝানোর এবিলিটি রাখতে হবে। আপনি যখন নিয়োমিত ব্লগ/ আরটিকেল পড়তে শুরু করবেন তখুন আপনার মধ্যে আস্তে আস্তে ক্রিয়েটিভিটি আপনা-আপনি বাড়তে শুরু করবে। যতো ভালো লিখতে পারবেন ততো ভালো ভালো ভিজিটর পাবেন। এবং ঐ সমস্ত ভিজিটরের মাধ্যমে নতুন নতুন পাঠক ও পেয়ে যাবেন।
পাঠককে বুঝিয়ে বলাঃ
কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনি আপনার পাঠককে বুঝানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু আপনি বুঝাতে বুঝাতে নিজেই হারিয়ে গেছেন। এক টপিক থেকে অন্য কোন টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। কি বলছেন বা কি নিয়ে আলোচনা করছেন আপনি নিজেই জানেন না। এভাবে ভিজিটর বিরক্ত হয়। তবে অন্য টপিক নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তবে ছোট ছোট উদাহরনের মাধ্যমে ভিজিটরকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে।
ধরুন আপনি কোন একটা বিষয় গুগলে সার্চ দিলেন, তারপর আপনি টাইটেল পড়ে বুঝতে পারলেন আপনার কাঙ্খিত পোষ্টটি পেয়ে গেছেন। এরপর ব্লগে ঢুকে দেখলেন আপনি যা চাচ্ছেন তা এই আরর্টিকেল-এর মধ্যে নেই। অন্য কোন বিষয় বা আজে বাজে গল্প দিয়ে ভরা। তখন কি আপনি বিরক্ত হবেন না? অবশ্যই হবেন। এই জন্য আরটিকেল লেখার পর আপনি পড়ে দেখবেন আপনি বুঝতে পারছেন কি না। ফাকি মারা আরটিকেল লিখলে এই সেক্টরে বেশি দিন টিকতে পারবেন না। তাই জত্ন করুন। ভালো ফলা-ফল পাবেন।
ব্লগে ছবি যুক্ত করাঃ
আপনার ব্লগের পোষ্ট বা আরটিকেল রিলেটেড কিছু ছবি যুক্ত করতে হবে। অন্ততো পক্ষে একটা ছবি আপনার আরটিকেল রিলেটেড থাকতেই হবে। যেন পাঠক আপনার আরটিকেল পড়ার আগেই বুঝতে পারে যে আপনার আরটিকেল কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হলো ইমেজে Alt Tex যুক্ত করতে হবে। এটা করতে পারলে আপনার ইমেজ গুগল ইমেজে র্যাংক করবে। আর আপনার ইমেজ গুগলে র্যাংক করলে এখান থেকেও প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পেয়ে যাবেন।
৩০০ শব্দের বেশি লেখাঃ
আপনার আরটিকেল এর শব্দের উপরে একটু মনোযোগ দিন এবং দেখুন আপনার আরটিকেলটি কত শব্দের হচ্ছে। অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার আরটিকেল যেন ৩০০ শব্দের বেশি হয়। এই জন্য আবার একই লেখা বার বার লিখবেন না। বার বার লিখলে পাঠক বিরক্ত বোধ করবে সেই সাথে সাথে গুগল র্যাংক থেকে আপনার সাইটটি ডাউন করে দেবে।
একই লেখা বার বার লিখলে আপনি ভিজিটর হারাবেন। যতো বড় আরটিকের হবে আপনার ব্লগ ততো দ্রুতো গুগলে র্যাংক করবে। গুগল অধিক ওয়ার্ডের আরর্টিকেল বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই আপনার আরটিকেল লং হতে হবে।
অনেকেই বলে থাকেন ভাইয়া আরটিকেল কত শব্দের লিখলে গুগলে আমার আরটিকেল র্যাংক করবে? এই ক্ষেত্রে আমি বলবো সর্ব নিম্ন অবশ্যই ৩০০ শব্দের হতে হবে এবং সর্বোচ্চ যতো পারেন। ৫০০০, ১০০০০ হাজার যতো বড় হবে ততোই ভালো। তবে বিষয়ের উপর নির্ভর করে আরর্টিকেল বড় ছোট করবেন।
সমস্ত লেখা ২-৩ বার মনোযোগ সহোকারে পড়ুনঃ
আপনার Article লেখা শেষ হলে ২-৩ বার পড়ুন। আমরা যাকে বলি রিভিশন। তাহলে আপনার আরটিকেল এর মধ্যে কোথায় কোন সমস্যা আছে খুব সহজেই ধরা পরবে। তাই আরটিকেল লেখা হলে দু থেকে তিন বার পড়া উচিত।
বেশি বেশি আরটিকেল পড়ুন এবং নিজেকে একজন দক্ষ রাইটার হিসেবে গড়ে তুলুন। ধন্যবাদ।
✓ অবশ্যই মন্তব্য করতে ভূলবেন না
Valo motamot
Tnx...
Nice
article টা প্রাকাশ করব কিভাবে
Right
চমৎকার একটি সহায়ক লেখা।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে !
চমৎকার
আপনাকে আনেক ধন্যবাদ
Nice
nice
nice
একটি মন্তব্য করতে প্রবেশ বা নিবন্ধন করতে হবে।